হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের লাখাইয়ে স্কুলছাত্রী ফাহমিদা আক্তার আখিঁর মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিক সাফায়েত হোসেন রানাসহ দুষিদের বিচারের দাবিতে মাদববন্ধন করেছেন তার সহপাঠি ও এলাকাবাসী। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কের খালাউক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে শারীরিক দূরত্ব মেনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে আখিঁর সহপাঠি ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বক্তারা বলেন- মেধাবী ছাত্রী আখিঁকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের জালে আবদ্ধ করে তারই আপন চাচাতো ভাই সাফায়েত হোসেন রানা। এক পর্যায়ে রানা আখিঁকে বিয়ে করবে না বলে জানায়। এতে রাগে ও অপমানে গত ১০ জুন সে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
তারা আখিঁর মৃত্যুর পেছনে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলত শাস্তি দাবি করেন।
উল্লেখ্য- লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের রুহুল আমীনের মেয়ে কালাউক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ফাহমিদা আক্তার আঁখি সাথে তারই আপন চাচাতো ভাই সাফায়াত হোসেন রানার দীর্ঘ দিন যাবত প্রেম চলে আসছিল। সম্প্রতি আঁখির পারিবারের কাছে বিভিন্ন স্থান থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে। এতে আঁখি প্রেম হারানোর ভয়ে রানাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু রানা তাকে বিয়ে করতে রাজি না হলে রাগে ও অপমানে আঁখি বিষপান করে আত্মহত্যা করে।
এদিকে, এ ঘটনায় আখির বাবা রুহুল আমীন মামলা দায়ের করতে চাইলে মামলা নিতে রাজি হয়নি লাখাই থানা পুলিশ। বিভিন্ন অজুহাতে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) অজয় চন্দ্র দেব জানান- আঁখি ও তার চাচাত ভাই সাফায়াত হোসেন রানার মধ্যে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা যাচ্ছে। কিন্তু তার মৃত্যুও বিষয় নিয়ে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সঠিক কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি। যার কারণে মামলা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।